বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে রাখুন অসৎ নারীদের চেনার উপায় কী?

ছলনাময়ী নারীদের চেনার উপায়:

পুরুষের একটা দোষ আছে। কোনও নারী যদি তার দিকে চেয়ে একচিলতে হাসে, ধরেই নেয় কাজ হয়ে গেছে। খুশি তো ফসি। মেয়ে ইমপ্রেসড্! সহজেই রাজি হয়ে যাবে। এক-কে একশো ভেবে ফেলে সেই নির্বোধ পুরুষ। তাই নারীকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই অতিমাত্রায় ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে হয় পুরুষের সামনে। ইচ্ছে না থাকলেও জোর করে দুর্ব্যবহার করতে হয় অনেক সময়। কোনও পুরুষ যেচে আলাপ করতে এলে, এমন অ্যাটি দেখায়, যেন বাকিংহাম প্যালেসের রানি! মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। খারাপ কথা বলে দেয়। হাবেভাবে বোঝায়, “তোমাকে আমার চাই না”। পুরুষ পড়ে ধন্দে। মনে করে নারী খুব জটিল প্রাণী। …এবং জেনে রাখুন, এই শ্রেণির নারীর সংখ্যাই আমাদের সমাজে বেশি। ঘরে-বাইরে দীর্ঘদিনের ট্রেনিংয়ের ফলেই এই প্রকার নারীর আবির্ভাব।

আরও একটা নির্বোধ টাইপ আছে, যার কোনও ইগোফিগো নেই। যে নারী কোনও ছকে চলে না, তাকে নিয়েই যত জ্বালা। সে হাসলে পুরুষ ভেবে নেয় অনেককিছু। খেতে দিলে, শুতে চায়। এই নারী নিতান্ত সরল টাইপ। এই টাইপটাকে মানুষ সহজেই ভুল বোঝে। সে যদি ভালো মনে কিছু করতেও যায়, খারাপটাই ভেবে নেয় সকলে। মনে করে অন্য কোনও মতলব আছে তার। কিন্তু এই দুই প্রকার নারীর বাইরেও আরও একপ্রকার নারী আছে, যে ফ্লার্টিংকে শিল্পের পর্যায় নিয়ে গেছে। আলাপের প্রথম প্রথম এমন হাবভাব করে, যেন ভাজা মাছটা উলটেই খেতে শেখেনি। পৃথিবীর রং, রূপ, গন্ধ – সবই প্রথম দেখছে। শিহরিত হচ্ছে পলকে পলকে। সেই মেকি সারল্যের প্রেমে পড়ে পুরুষ।

তখনই অনেকটা জিতে যায় ছলনাময়ী। ক্রমে সুতো ছাড়তে শুরু করে। এই ধরনের নারী কিন্তু খুব ধীরস্থির। হড়বড় করে কথা বলে না। খুব মার্জিত চালচলন। মিষ্টি হাসিটাও ফেক। দীর্ঘদিনের হোমওয়ার্ক করে আনা। সাধারণত কমিটমেন্টে বিশ্বাস করে না। একই সময় বহুপুরুষের সঙ্গে সদ্ভাব রাখতে পারে। এমন নারী বিশ্বাসের অযোগ্য হলেও, সবাই তাকে বিশ্বাস করে নেয়। সে আসে, দেখে, জয় করে। কী করে চিনবেন এমন নারীকে, কী করে বুঝবেন তিনি ফ্লার্ট করছেন আপনার সঙ্গে। জেনে নিন –

১. লজ্জাই নারীর ভূষণ। এই ধরনের নারীরা আপাত ভদ্র হলেও তাদের মধ্যে নির্লজ্জ হাবভাব প্রকাশ পায়। পুরুষের চোখের দিকে চেয়ে থেকে এমনভাবে, যেন তার ভিতরটা পড়ে ফেলছে। নারীর ওই দৃষ্টি পুরুষের সর্বনাশের কারণ।

২. মাথার চুল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করে কথা বলার সময়। পুরুষকে বাধ্য করে তার রূপের দিকে নজর দিতে। ইচ্ছে করে ইঙ্গিতবাহী পোশাক পরে আসে তার সামনে। যাতে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে।

৩. পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রথমে। তারপর তার বাড়ির ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকে। যেহেতু এই নারীকে পুরুষ সহজেই বিশ্বাস করে নেয়, নিজের সম্পর্কে সবই তাকে বলে ফেলে। এমন নারী কিন্তু পুরুষকে ফাঁদে ফেলতে ওস্তাদ। নানাভাবে বিশ্বাস অর্জন করে, ব্ল্যাকমেইল করতেও পিছপা হয় না।

৪. নানা ছুতোয় কথা বলার সুযোগ খোঁজে এই নারী। এড়িয়ে গেলে বাড়ি চলে আসে। যেহেতু ততদিনে বাড়ির লোকের সঙ্গেও সদ্ভাব করে নেয়, তাই বাড়ির লোকের নজরেও সে বিশ্বাসযোগ্য।

৫. বারংবার দেখা করার ফাঁক খোঁজে। সেই দেখা হওয়া কিন্তু একান্তে। অন্য কাউকে ডাকে না তখন।

৬. মাঝরাতে মেসেজ করে। রাত ১টা, ২টোর সময় মাখোমাখো মেসেজ পাঠাতে থাকে।

৭. এমন নারীর সঙ্গে কখনওই মদ্যপান করা উচিত নয়। হতেই পারে অচৈতন্য মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে পরবর্তীকালে সমস্যায় ফেলে দিল।

৮. এই নারী নানা অছিলায় যৌনতাকে নিয়ে আসে আলোচনার মধ্যে। পুরুষকে যৌনভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। সেই উত্তেজনার বশে পুরুষ যদি মাত্রাতিরিক্ত কিছু করেও ফেলে, বিপদ কিন্তু পুরুষেরই। এই নারী কিন্তু অবলীলায় দোষ চাপিয়ে দিতে পারে পুরুষের ঘাড়ে।

অধিক কামুক মেয়ে চেনার উপায় !

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সিন্ডি মেস্টন এবং ইভোল্যুশনারি সাইকোলজিস্ট ডেভিড বাস পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ১০০৬ জন মহিলার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাদের যৌন অনুপ্রেরণার বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে। আর মাত্র ১০০৬ জন নারীর কাছ থেকেই বেরিয়ে এসেছে যৌনতার ২৩৭ টি আলাদা আলাদা কারণ। যদিও অনেকগুলো কারণের ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত, আবার অনেকগুলো কারণ কয়েকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তো দেখা যাক, কারণগুলি কী কী?

গবেষকরা নারীদের যৌন-প্রেরণাগুলিকে তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছেন- শারীরিক, আবেগ সংক্রান্ত এবং বস্তুবাদী কারণ। এই ক্যাটাগরির সাব ক্যাটাগরিতেই রয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সেল্ফন স্টিমুলেশন, প্রেমিককে ধরে রাখা। তেমনই রয়েছে- জোর-জবরদস্তির শিকার হওয়া পর্যন্ত। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সম্পূর্ণ পরোপকারী উদ্দেশ্য, তেমনই রয়েছে সম্পূর্ণ বদ মতলব। যেমন, কাউকে ভয়ানক রোগে আক্রান্ত করা।

অবভিয়াসলি! আদি অনন্তকাল ধরেই সবাই জানে “মেয়েদের যৌনতা ভালবাসা তাড়িত, আর ছেলেদের যৌনতা ইন্দ্রিয়সুখ তাড়িত”, পশ্চিমি দেশগুলি এই মিথকে উড়িয়ে দেয়। অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক মহিলা কোনও ধরণের রোম্যান্টিক রিলেশনশিপে না থাকা অবস্থায় শুধুই ইন্দ্রিয় সুখের জন্য সেক্স করতে আপত্তি দেখাননি। তবে কারও সঙ্গে রোম্যান্টিক রিলেশনে থাকা অবস্থায় ইন্দ্রিয় সুখের জন্য অন্য কারও সঙ্গে সেক্স করার ব্যাপারে প্রায় ৮০ শতাংস মহিলার ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গল অবস্থায় রোম্যান্সবিহীন সেক্সে অনেকেই আগ্রহী হলেও পার্টনারের সঙ্গে ‘চিটিং’কে তাঁরা সমর্থন করেন না।

এটাও অবভিয়াস। প্রেমে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে প্রেমলীলায় মত্ত হয়নি এরকম জুটি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেক সময়ই নিজের আবেগের চেয়ে বড় হয়ে দাড়ায় পার্টনারকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। পার্টনারের আবেদনে সাড়া না দিলে সে ছেড়ে চলে যেতে পারে, এই ধারণা থেকে অনেক সময়ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সাড়া দেন ।

অনেক মহিলাই রোম্যান্টিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও পুরুষদের আবেদনে সাড়া দেন এই উদ্দেশ্যে যে, পুরুষটির সম্পর্কে চিড় ধরিয়ে সেই পুরুষটিকে তাঁর দিকে আকর্ষিত করতে। যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু একজন মেয়ে মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করে থাকতে পারে কোন সমস্যা ছাড়া।৩. মেয়েরা রোমান্টিক কাজকর্ম যৌনকর্ম চেয়ে অনেক বেশী পছন্দ করে। বেশীর ভাগ মেয়ে গল্পগুজব হৈ হুল্লোর করে যৌনকর্মর চেয়ে বেশী মজা পায়।৪. মেয়েরা অর্গ্যাজম করে ভগাংকুরের মাধ্যমে, মেয়েদের অর্গ্যাজমে কোন বীর্য বের হয় না।

নারীরা যৌন মিলনে আগ্রহী হলে তাঁদের ঠোঁট রক্তাভ হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি লাল হয়ে যায় ঠোঁট।
– নারীদের গালেও লালিমা দেখা দেয় উত্তেজনায়। অনেক্র একটু একটু ঘামেন, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে।
– যৌন উত্তেজিত হলে শরীর খুবই স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। আপনার সামান্য স্পর্শেই শিহরিত হয়ে উঠবেন তিনি।
– যতই লাজুক স্বভাবের নারী হোন না কেন, যৌন মিলনে আগ্রহী হলে তিনি নিজেই আপনার কাছে আসবেন। হয়তো সরাসরি কিছু না বললেও আপনার কাছে এসে বসবেন, আলতো স্পর্শ করবেন, চুমু খাবেন, চোখের ইশারায় কথা বলবেন।
– প্রবল উত্তেজনার সময় যৌন মিলন কালে তিনি আপনাকে আঁচড়ে কামড়ে দেবেন। হাতের নখ আপনার শরীরে গেঁথে বসতে পারে, গলায় কানে ইত্যাদি স্থানে তিনি কামড় দেবেন উত্তেজনায়।
– এছাড়াও মিলনের সময় শীৎকারে বুঝবেন যে তিনি আনন্দ পাচ্ছেন ও প্রবল ভাবে উত্তেজিত। অনেকেই জোরে আওয়াজ করেন না, কিন্তু একটা মৃদু “আহ উহ” আওয়াজ হবেই।

যদি স্ত্রী আপনার সাথে যৌন মিলনে আগ্রহ না দেখান, তাহলে হতে পারে সেটা তাঁর লজ্জার কারণে। বিষয়টি লজ্জার কারণে হলেও আপনি সেটা বুঝতে পারবেন। আপনি স্পর্শ করলে তিনি শিহরিত হবে, যোনি পিচ্ছিল হয়ে যৌন মিলনের জন্য প্রস্তুত হবে, তিনি আপনাকে বাঁধা দেবেন না মিলনে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখবেন, যৌন মিলনে আগ্রহ না দেখানো এবং অনীহা প্রকাশ করা, দুটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার।

ঠোঁট দেখে নারীর ব্যক্তিত্ব চেনার উপায়!

নারীর ঠোঁটের গড়ন দেখেই তাদের ব্যক্তিত্ব চেনা যায়, বোঝা যায় তাদের মানসিকতা। বিষয়টি পুরোপুরি ধারণানির্ভর হলেও একেবারে অযৌক্তিক বা উড়িয়ে দেবার বিষয় নয়।

সম্প্রতি, এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবী করেছেন নারীদের ঠোঁট দেখে তাদের ব্যক্তিত্ব, মানসিকতা, মন-মেজাজ ইত্যাদি ভালোভাবে চেনা যায়। তারা বলছেন, নারীদের ঠোঁট দেখে শতভাগ চেনা না গেলেও অন্তত তাদের ব্যক্তিত্ব কেমন সেইটুকু বোঝা যায়।

আসুন জেনে নেয়া যাক কোন ঠোঁটের নারী কেমন হয়-

# যে নারীর ঠোঁটের আকার হৃদয়ের মতো, তিনি খুব সেক্সুয়াল ও কনফিডেন্ট।

# যদি ওপরের ঠোঁট নীচের ঠোঁটকে কভার করে, তাহলে সেই নারীর স্বভাব এবং বিচার-বিবেচনা খুব ভালো।

# যে নারীর নীচের ঠোঁট মোটা, তিনি অনেক ভালোবাসা পেয়ে থাকেন। এ ঠোঁটের নারীরা কাউকে যত না ভালোবাসেন, তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা পান।

# শুকনো ঠোঁট হলে, সেই নারী খুব পরিশ্রমী হন। তারা নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবনা-চিন্তা করেন না।

# যাদের ঠোঁট মোটা, তারা খুব কঠিন স্বভাবের হন।

# নীচের ঠোঁট বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকলে সেই নারী ঠোঁটকাটা স্বভাবের হন।

এই বিভাগের আরো খবর